Breaking News

বাস্তব জিবন থেকে নেয়া গল্প

ভাবীর ছোট বোনটা যখনি অামাদের বাসায় অাসে তখনি যেনো হৃদয়ে বিদ্যুৎ চমকায়।
লেখাপড়া বাদ দিয়ে সাউন্ড বক্সে রোমান্টিক সং জোরে সাইন্ড দিয়ে বাজাই।

ভাবী বিষয়টা বুঝতে পারে, মাঝে মাঝে এসে বলে ঢং করোনা দেবর,
আমার বোন এসবে পটবেনা।
মার নীল কালারের একটা শার্ট আছে,
ভাবী একদিন বলেছিলো নীল শার্ট পরলে আমাকে দারুন লাগে...
ভাবীর বোনের চোঁখে একটু দারুন লাগার জন্য ওই শার্ট-টাই গত ৭দিন ধরে পরছি।
রাতে ধুয়ে রাতেই শুকিয়ে ফেলি। ৮দিনের মাথায় ভাবীর বোন বললো,
ভাইয়া অাপনার কি অার কোন শার্ট নেই? এক শার্ট কতোদিন পরবেন অার?
কথাটা শুনে লজ্জা অার রাগ দুটোই হয়েছিলো।
রাগের ঠেলায় প্রতি ঘন্টায় শার্ট পাল্টে দেখিয়ে দিয়েছিলাম অামার কতো শার্ট অাছে.....
ভাবীকে বলেছিলাম তোমার বোন কি খেতে ভালোবাসে.?
.
ভাবী সেখানেও উল্টো ভেবে বললো, দেখো এক বাড়িতে দুই বোন বউ হিসাবে অাসতে পারেনা।
তাই টাংকিবাজী বাদ দাও, নয়তো অামার বোন কে অার কখনোই অাসতে বলবোনা...
শুনে মনটা ভিষণ খারাপ হলো।
ভাবী কোথায় হেল্প করবে, তা না করে অারো বাগড়া দিচ্ছে... ধ্যাত
বড় ভাই কে বলা যাবেনা। নয়তো জুতা খুলে মুজা দিয়ে পেটাবে।
যা করার অামাকেই করতে হবে।
পুরুষ মানুষ ভিতু হলে চলেনা। সাহস চাই সাহস।
সোজা প্রপোজ করে দেবো, এক্সেপ্ট না করলে অান্দাজি হাসাহাসি করে বলবো ফান ছিলো......
ক্যাটবেরি চকলেট দিয়ে প্রপোজ করলাম।
বেয়ান অাই লাভ ইউ।
কিন্তু ভাবির বোন বললো, অানকমন টাইপের প্রপোজ করতে পারলে সে ভেবে দেখবে...
কিন্তু অানকমন টাইপ প্রপোজ খুজেই পাচ্ছিনা.....
তবুও বহুদিনের প্রচেষ্টার মেয়েটিকে অামার করে নিতে পেরেছিলাম।
কিন্তু তা বেশিদিন টেকেনি। কয়েকদিনে মধ্যেই ভাবী জেনে যায়।
এবং তাকে খুব গালাগালিও করে। ভাইকেও বলে দেয়, ভাইও অামাকে প্রচুর বকে।
অামি বিয়ে করতে চেয়েছিলাম, সবাই রাজি ছিলো, কিন্তু ভাবী কোন ভাবেই রাজি হলোনা।
পা ধরতেও চেয়েছি, না মন গলেনি কোন ভাবে।
বড় ভাইকে কি কি সব বলে রাগিয়ে দিয়েছিলো..
ভাই তখন খুবই ক্ষিপ্ত হয় এবং বলে নিজেই তো বসে বসে অন্ন গিলছিস,
২টাকা ইনকাম করার মুরদ নাই, অাবার বিয়ের সখ...
এই কথাটা শুনে কেঁদে ফেলেছিলাম।
মেয়েটিও পরিবারের অমতে কিছু করবেনা বলেছিলো।

অামি তখন নিরুপায়। বাবার সম্পত্তি ভাগাভাগি করতে বলেছিলাম।
বাবা বলেছে অামি মরার পর যা খুশি করিস তোরা। এখন এসব হবেনা।
অবশ্য বাবা রাজি ছিলো, কিন্তু ভাবি বলেছিলো তার বোনকে
বিয়ে করে অানলে সে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে এবং ভাইকে ডিভোর্স দেবে......
সত্যিই খুবই অসহায় লাগছিলো নিজেকে..
নিজে কিছু করার জন্য বাড়ি ছেড়ে ঢাকা অাসলাম।
একটাও চাকরিও পেয়েছি। বেতন ভালো....
এবার তো বলতে পারবেনা অামি বেকার। প্রয়োজনে বিয়ে করে ভাড়া বাসায় থাকবো...
অনেক সাহস ভালোবাসা ভরসা নিয়ে বাসায় গেলাম।
গিয়ে শুনি, ভাবীর বোনের ১মাস অাগে বিয়ে হয়ে গেছে।
অামাকে জানাইনি কারন তাতে অামি ঝামেলা করতে পারি।
কথাটা শুনে দাড়িয়ে থাকার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলাম।
মানুষ কতোটা নিষ্ঠুর হলে এমন করতে পারে......
মেয়েটিও একবার জানাতে পারতো। অবশ্য মেয়েটির কোন দোষ নেই,
সে অাগেই বলেছিলো, তার পরিবার যা করবে সেটাই মেনে নেবে।
ভাগ্যটা অামার বিপরীত ছিলো তাই প্রিয় মানুষটিকে পাওয়া হয়নি..
কেটে গেছে ৫বছর... এই পাঁচ বছরে বড় ভাই ভাবীর সাথে হ্যালো কথাটাও বলিনি।
বাবা মাকে দেখতে বাড়িতে যেতাম। মা রান্না করলে খেতাম নয়তো হোটেলে গিয়ে খেয়ে অাসতাম।
বড় ভাই মাঝে মাঝে করুন ভাবে তাকায় অামার দিকে...
অামি চুপ থাকি... ইচ্ছে থাকা সত্যেও কথা বলিনা..
কোথাও একটা তিক্ততা, একরাশ ঘৃণা,
আর মনের মধ্যে জমানো কষ্টগুলো আমাকে বাধা দেয়...
জানিনা এর শেষ কোথায়..

কেমন লাগলো জানাবেন ব্লগটাকে ফলো করে রাখবেন।

No comments